Monday, September 28, 2015

টিমওয়ার্কে বিশ্বাস তৈরি করবেন যেভাবে

টিমওয়ার্কে বিশ্বাস তৈরি করবেন যেভাবে



কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য টিমওয়ার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে একটি টিমের ক্ষেত্রে ঠিকভাবে কাজ হওয়া তখনই সম্ভব যখন টিমের সব সদস্য ঠিকভাবে কাজ করবেন। আর এক্ষেত্রে বিশ্বাস তৈরিও গুরুত্বপূর্ণ। এ লেখায় থাকছে টিমওয়ার্কে বিশ্বাস সৃষ্টির কয়েকটি উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
অতীতে কর্মীরা কাজ করছে কি না, তা কিভাবে নির্ণয় করা হতো? এজন্য প্রত্যেক লাইনে একজন করে সুপারভাইজারকে থাকতে হত। তিনি সব কর্মীর ওপর নজর রাখতেন এবং কেউ কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা নেই। এখন অনেক স্থানেই কর্মীরা টিমওয়ার্কের ভিত্তিতে কাজ করে। আর এ টিমওয়ার্ক নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর। এক্ষেত্রে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আধুনিক ব্যবস্থায় ম্যানেজারেরা ভয় দেখিয়ে কাজ আদায় করে নিতে স্বাচ্ছন্দ নন। এখন ভিন্ন উপায়ে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করা হয়। এ কারণে আধুনিক ম্যানেজারদের আর বলতে হয় না যে, ‘আমার আপনার সাহায্য প্রয়োজন।’
আধুনিক ম্যানেজারেরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কথাবার্তা বলেন। এক্ষেত্রে টিমওয়ার্কের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর এজন্য পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অতি প্রয়োজনীয়।
ওয়ান-টু-ওয়ান মিটিং
ওয়াট-টু-ওয়ান মিটিং আধুনিক ম্যানেজারদের অত্যন্ত প্রিয় একটি বিষয়। এক্ষেত্রে টিমের সদস্যরা প্রত্যেকেই ম্যানেজারের সঙ্গে পৃথক মিটিং করেন। এতে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস যেমন বাড়ে তেমন টিমের সদস্যদের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা সহজ হয়। এতে কোনো আইডিয়া বিনিময় করা কিংবা গ্রহণ করা সহজ হয়।
ওয়াট-টু-ওয়ান মিটিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক ম্যানেজারই জানতে চান, ‘আপনি কি আপনার লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছেন?’ এমন ধরনের কথা। তবে এটিই প্রাথমিক কথা হয় না। এক্ষেত্রে আরো বহু বিষয় চলে আসে আলোচনায়।
এক্ষেত্রে অনেক ওয়ান-টু-ওয়ান মিটিংয়ের ক্ষেত্রেই মূল আলোচনার বিষয় থাকে ‘আপনার কাজ কেমন চলছে?’ ধরনের প্রশ্ন। এরপর কথা প্রসঙ্গেই আসতে থাকে কাজের নানা প্রসঙ্গ।
এক্ষেত্রে অনেক নির্বোধ ম্যানেজারই বলতে পারেন ‘আপনার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার কারণগুলো আমি জানতে চাই না। আমি শুধু লক্ষ্য অর্জন চাই।’ অন্যদিকে সফল ম্যানেজারেরা কখনোই কোনো বাস্তব তথ্য জানতে অস্বীকৃতি জানান না। তারা বাস্তবতা জানা ও বোঝার জন্য সব কথা শুনতে চান।
ওয়ান-টু-ওয়ান মিটিংয়ে একজন কর্মীর সঙ্গে ম্যানেজার যেসব কথা বলবেন তার কোনো নির্দিষ্ট বাধাধরা নিয়ম নাই। তার পরেও একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করলে তা এমনটাই দাঁড়াবে-
-- আপনি কেমন কাজ করছেন?
--আপনার পথের বাধাগুলো কি কি? আমি কিভাবে এগুলো দূর করতে সহায়তা করতে পারি?
--এছাড়া আর কি কি কাজ আপনার জন্য আমি করতে পারি? আপনার আর কি কি তথ্য আমার জানা প্রয়োজন?
স্বাভাবিক একট অফিসে এ ধরনের কথাবার্তায় একটি ওয়ান-টু-ওয়ান মিটিং আধ ঘণ্টা থেকে ৩৫ মিনিট সময়ের হতে পারে। তবে কখনো কখনো প্রথমদিকের মিটিংগুলো দীর্ঘায়িত হতে পারে। পরবর্তীতে কাজের বিষয়গুলো নির্দিষ্ট হয়ে গেলে কিংবা সমস্যা চিহ্নিত হয়ে গেলে সময় কমও লাগতে পারে।

Source: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/09/27/272805

No comments:

Post a Comment