Tuesday, December 1, 2015

আউটসোর্সিং পুরস্কার পেল ৯৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

আউটসোর্সিং পুরস্কার পেল ৯৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

রাহিতুল ইসলাম | আপডেট:
পুরস্কৃত সেরাদের সঙ্গে অতিথিরাআউটসোর্সিং খাতে বিশেষ সফলতা অর্জন করায় চলতি বছর ৯৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিং পুরস্কার ২০১৫ দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আউটসোর্সিং পুরস্কার দেওয়া হলো। সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ ৩৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং তথা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কাজের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আউটসোর্সিং বাংলাদেশের জন্য ভালো সম্ভাবনার দিক।’ বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান তৈরি না করে আমাদের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে শরিক হতে হবে। বেসিসের বিআইটিএমের মাধ্যমে ২০১৮ সাল নাগাদ ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে।’ অনুষ্ঠানে ব্যাংক এশিয়ার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম, বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর ব্যক্তিগত, নারী, নতুন উদ্যোগ (স্টার্টআপ), প্রতিষ্ঠান ও জেলা—এই চার বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন আটজন। তাঁরা হলেন খালিদ মো. সরকার, মো. কামরুজ্জামান, মেহেরুল ইসলাম, শাহাজাহান রাসেল, আরিফুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, আরাফাত জাহান ও মুহাম্মদ মুনির হোসেন। নারী বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সন্ধ্যা রায়, অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা ও মুমিতা মেশকাত। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি নতুন উদ্যোগ হলো মোবিও অ্যাপ লিমিটেড, উইডেভস, আইএক্সরা সলিউশন লিমিটেড, ইনক্রিপটো মোবাইল অ্যাপস, সিলিকন অর্চাড লি., আডভান্স অ্যাপ বাংলাদেশ, ইমপ্লেভিসটা বিডি, ইকরাসিস সলিউশন লি., সিকোপেন্ট ও আউটসোর্স এক্সপার্টস লি.।
প্রতিষ্ঠান বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ভিজার্ট বাংলাদেশ, এমএফ এশিয়া, স্ট্রাকচার্ড ডেটা সিস্টেম লি., বর্ডিং ভিশতা লি., টপ অব স্ট্যাক সফটওয়্যার, গ্রাফিক পিপল লি., সিমপ্লেক্সহাব লি., সারভিসেনিং লি., নাশসিয়েনা লি., বিজেআইটি লি., বিক্রিয়েটিভস লি., ভিভিড টেকনোলজিস লি., ব্রেইন স্টেশন-২৩, কেফালো-আমরাভি লি. এবং এম অ্যান্ড এইচ ইনফোরমেটিক্স (বিডি) লি.।
এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে ৫৮ জন ফ্রিল্যান্সারকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

Source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/673462/

সফল কজন ফ্রিল্যান্সার

আপডেট: |
.
অনেক তরুণের আগ্রহের জায়গা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির নানা ধরনের কাজ করে অনেকেই সাফল্য পেয়েছেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ সোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দিয়েছে আউটসোর্সিং পুরস্কার ২০১৫। একক, জেলাভিত্তিক ও প্রতিষ্ঠান মিলে ৮৪টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের কথা তুলে ধরেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী এবং রাহিতুল ইসলাম
মো. কামরুজ্জামানপরিবারের সহায়তা লাগবে
মো. কামরুজ্জামান
ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা শেষে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন মো. কামরুজ্জামান। কয়েক বছর পর ব্যবসা ছেড়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা থেকেই যুক্ত হয়ে পড়েন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। ২০১১ সাল থেকে শুরু।

এখনো কাজ করছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য। এ ছাড়া সার্ভার ও পিবিএক্স নিয়েও কাজ করেন। নটর ডেম কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষে বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মনে করেন, সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে পরিবারের সহায়তা লাগবে। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করতে চান, যেখানে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি মনে করেন, নতুনদের শেখানোর জন্য ওয়েবে, ইউটিউবে ভালো টিউটোরিয়াল থাকা জরুরি।
মো. জেনসিন আবেদীনশেখাতে চাই নতুনদের
মো. জেনসিন আবেদীন
কুড়িগ্রাম

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জেনসিন আবেদীনের বাবা ২০০০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। দুই ভাই এবং এক বোনের পড়াশোনা, মাসহ পরিবারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল। তবে কষ্টের সে সময়েও এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে পরিচিত একজনের পেন্টিয়াম থ্রি কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পান এবং ছবি সম্পাদনার কাজ শুরু করেন।

২০১২ সাল থেকে এ কাজ দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন জেনসিন। ইতিমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্বপ্ন দেখছেন পিছিয়ে থাকা জেলা কুড়িগ্রামে কিছু করার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অন্যদের শেখাতে চান। তিনি বলেন, ‘নিজে নিজে কিছু শেখার চেষ্টা না করলে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। তাই নিজের আগ্রহ থাকা এবং কাজ শেখাটা জরুরি।’
মো. সানোয়ার হায়দারসঠিক নির্দেশনা জরুরি
মো. সানোয়ার হায়দার
ঠাকুরগাঁও
চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় মো. সানোয়ার হায়দার ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। শুরুর দিকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে নিজের একটি ছোট প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করছেন সানোয়ার। জানালেন, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। তাই ফিল্যান্সিংকে পেশা বেছে নিয়েছি। সানোয়ার বলেন, ‘পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে স্নাতক তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছি। এরপর আর পারিনি। সবকিছু গুছিয়ে আবার পড়াশোনা শুরুর ইচ্ছা আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সঠিক নিদের্শনা জরুরি।’ সেটি ধরে রেখে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করার স্বপ্নে কাজ করছেন তিনি।
রয়েছে সম্ভাবনাখালিদ মাহমুদ
খালিদ মাহমুদ
ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী
২০০৯ থেকে শুরু হয় খালিদ মাহমুদের ফ্রিল্যান্সিং পেশা। প্রথমে কাজটা শুরু করেছিলেন লেখালেখি করে। পরবর্তী সময় নিজের ওয়েবসাইটেই বিভিন্ন লেখা (কনটেন্ট) লিখতে শুরু করেন। সাইপ্রাসের ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনা করে আউটসোর্সিংয়ে পুরো মনোযোগ দিয়েছেন। খালিদ বলেন, ‘এখন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কনটেন্ট তৈরির কাজ করছি। ইংরেজি ভালো জানেন এমন যে কেউ এ কাজে যুক্ত হতে পারেন। কনটেন্ট লেখার বড় বাজার রয়েছে।’
খালিদ স্বপ্ন দেখেন নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। যেখানে খুঁজে খুঁজে দেশের বেকারদের এক জায়গায় এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
আরিফুল ইসলামলেগে থাকতে হবে
আরিফুল ইসলাম
কক্সবাজার
শুরুটা করেছিলেন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানে। দুই বছর পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই কিছু করার চিন্তা থেকেই শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। এখন নিজ জেলা কক্সবাজারেই ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করছেন আরিফুল ইসলাম। শুরুতে অনেক দিন ধরেই কাজের জন্য চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। তবে লেগে ছিলেন। বলেন, ‘প্রথমে অনেকগুলো কাজে চেষ্টা করেও না পেয়ে আশাহত হইনি। নিজের কিছু করতে হবে, এমন চেষ্টায় লেগে থাকার ফলে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাই।’ বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম এবং প্লাগ-ইন তৈরি করেন আরিফুল ইসলাম। তাঁর পড়াশোনা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে। ভ্রমণ করা আর সিনেমা দেখা তাঁর শখ। সময় পেলেই সমুদ্র দেখতে চলে যান। ভবিষ্যতে একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান করতে চান।
৪০ জনকে বিনা মূল্যে শিখিয়েছি
সৈয়দ মাহমুদ হাসান
নড়াইলসৈয়দ মাহমুদ হাসান
বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে সৈয়দ মাহমুদ হাসানের ওপর। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শেখা শুরু করেন তখন। শুরুতে ইন্টারনেট বিপণনের কাজ শুরু করলেও পরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (এসইএম) নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই শুরুটা। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হাসান। খুলনা বিএল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। ২০১১ সালে যুক্ত হন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। বর্তমানে নড়াইল আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন হাসান। নড়াইলের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং শেখান তিনি। হাসান বললেন, ‘এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৪০ জনকে বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা কাজ শিখিয়েছি।
সাক্ষর দাসমা–বাবাই অনুপ্রেরণা
সাক্ষর দাস
বরিশাল
সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনলাইনে গ্রাফিক এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজ করছেন সাক্ষর দাস। প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা করে কাজ করেন। সাক্ষরের বাবা পিনাকী রঞ্জন দাস ব্যবসায়ী এবং মা জয়া রানী দাস গৃহিণী। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক সাক্ষর ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন মা-বাবার উৎসাহেই। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামার এক আত্মীয়ের অনুপ্রেরণায় নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরির কাজে লেগে যাই। আর সে কাজের স্বীকৃতি পেলাম এবার।’ সাক্ষর এখন স্বপ্ন দেখছেন, নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে, যেখানে বিনা খরচে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো শেখানো হবে। তাঁর বিশ্বাস, এভাবেই এগিয়ে যেতে পারে দেশ।
গুগলই বিশ্বস্ত শিক্ষক
মো. তৌহিদুজ্জামানমো. তৌহিদুজ্জামান
পাবনা
তৌহিদুজ্জামান ২০০৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজ শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বন্ধুদের কাছে জানতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা। পরবর্তী সময়ে পুরো এক বছর গুগলের সহায়তায় ধৈর্য ধরে লেগে ছিলেন। তাই বিশ্বাস করেন, অনলাইনে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য গুগল সবচেয়ে বড় গুরু, বিশ্বস্ত শিক্ষক।
তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনলাইনে নানান ধরনের কাজ থাকলেও নিজে সফল হয়েছি অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ও অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে। শুরুর দিকে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেছি প্রতিদিন।’ এখন নিজের একটা দল নিয়ে কাজ করেন তিনি। পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে এসে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তৌহিদুজ্জামান। এখন তিনি ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন।
হিরো বড়ুয়া 
চেষ্টা থাকতে হবে
হিরো বড়ুয়া
চট্টগ্রাম
২০১২ সালে ব্যক্তিগতভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করেন হিরো বড়ুয়া। পরবর্তী সময়ে কাজ করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে এবং এ কাজটিই করে যাচ্ছেন। কম্পিউটার ও কম্পিউটারের কাজের প্রতি আগ্রহ থেকেই এ কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং ই-কমার্স সমাধানের কাজ করেন হিরো বড়ুয়া। আউটসোর্সিংয়ের কাজে প্রতিদিন দিতে হয় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। স্নাতকোত্তর করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে চট্টগ্রামের ইউএসটিসি থেকে। ‘নিজের চেষ্টায় একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান তৈরির স্বপ্ন দেখি।’ বললেন হিরো বড়ুয়া। যে বিষয়ে পড়ছেন, সেই বিষয়ের জ্ঞান ও তথ্য আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান হিরো। সফল হতে হলে চেষ্টা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

Source: http://www.prothom-alo.com/technology/article/691564

ওডেস্ক এখন আপওয়ার্ক

ওডেস্ক এখন আপওয়ার্ক 

আপডেট: ০১:১৭, মে ০৭, ২০১৫ |

মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্য ইন্টারনেটে কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ওডেস্ক-ইল্যান্সের নাম বদলে গেছে। এখন এর নাম হয়েছে আপওয়ার্ক (www.upwork.com)। শুধু নামই নয়, সম্পূর্ণ নতুন ধরন নিয়ে এসেছে আপওয়ার্ক। ব্যাপক পরিবর্তনও আনা হয়েছে নতুন এ নেটওয়ার্কে। গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ইল্যান্স-ওডেস্ক কর্তৃপক্ষ। আপওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফান কারসিয়েল জানিয়েছেন, ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা করতেই নতুনভাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে আপওয়ার্ক। নতুন নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হয়েছে এতে, যাতে মেধাবী ও দক্ষ পেশাজীবীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আরও সহজে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে। ইতিমধ্যে ইল্যান্স-ওডেস্ক থেকে বছরে ১০০ কোটি ডলারের বেশি উপার্জন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। আগামী ছয় বছরের মধ্যে আপওয়ার্কের মাধ্যমে এই আয় এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশের কাজদাতারা ইতিমধ্যেই ইল্যান্স-ওডেস্ক ব্যবহার করে বছরে প্রায় ৩০ লাখের বেশি কাজের ফরমায়েশ দিয়েছেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ওয়েবসাইটে কর্মী খুঁজেছেন ১০ কোটি বারেরও বেশি। নতুন নামকরণকে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন স্টেফান। তাঁর মতে, এখন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ বাড়বে। আপওয়ার্কের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন ও নতুনত্ব আনার মাধ্যমে অনলাইনে কাজের বাজার আরও প্রসারিত করার ব্যাপারে কাজ করে যাবে আপওয়ার্ক। আপওয়ার্কে কর্মী নিয়োগের পদ্ধতিটি সহজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রুত যোগাযোগ-সুবিধা ও আপওয়ার্কের নতুন ‘রিয়াল-টাইম কমিউনিকেশন’ বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট কাজকে দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও দিচ্ছে। এ ছাড়া আপওয়ার্কের নতুন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইটের অনেক কাজ খুব সহজেই করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। থাকছে সরাসরি গ্রুপভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। আপওয়ার্ক ব্যবহারকারী না হলেও যোগাযোগের জন্য বিশেষ ‘চ্যাট টুলটি’ সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।

http://www.prothom-alo.com/technology/article/521059/

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট


ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট


ফ্রিল্যান্সারদের টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করার সুবিধা দিতে এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) অ্যাকাউন্ট চালু করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসের (বেসিস) সহযোগিতায় এই সুবিধা দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং পেশাদাররা তাদের অর্জিত অর্থের ৬০ শতাংশ ডলারে ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে এবং ৪০ শতাংশ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবেন। এ ছাড়াও গ্রাহকেরা একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ডের সাহায্যে কেনাকাটাসহ যাবতীয় লেনদেন করতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্ট ব্যক্তি বা কোম্পানি পর্যায়ে খোলা যাবে।
সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বেসিসের সহায়তায় কয়েক ধরনের সেভিং অ্যাকাউন্ট ও ইউএস ডলার ইআরকিউ (এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা) অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এই অ্যাকাউন্ট খুলতে বেসিস থেকে একটি সনদপত্র গ্রহণ করতে হবে। বেসিস থেকে সনদ নিতে তিন হাজার টাকা লাগবে। এই সনদ পেতে বেসিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট উদ্বোধন করেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এর হেড অব রিটেইল ক্লায়েন্ট আদিত্য মণ্ডল এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসর (বেসিস) প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ আসে পেমেন্ট গেটওয়ে সমস্যা সমাধান করার। এ জন্য বেসিস ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এগিয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ। আজ এই ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট সুবিধা উদ্বোধনের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে একটি ধাপ এগিয়ে যেতে পারলাম।’
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আবরার এ আনোয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরাই প্রথম আউটসোর্সিং পেশাদারদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা এনেছি যাতে দ্রুত, নিরাপদ এবং বৈধ উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা বা বিদেশে কেনা কাটা করা যায়।’
শামীম আহসান বলেন, ‘এ সুযোগের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পেশাদারেরা অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ও আন্তর্জাতিক বিল আদান-প্রদানে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।’
সনদ দিতে বেসিস তিন হাজার টাকা নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাজ্জাদ হোসেন অলি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বেসিস হয়তো আইনিভাবে ফ্রিল্যান্সারদের এ রকম সনদ দেওয়ার যোগ্যতা রাখে, কিন্তু নৈতিকভাবে কি ফি বা চাঁদা রাখতে পারে? আর যদি রাখে এর বিনিময়ে কী সেবা দেওয়া হবে? ’
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্রিল্যান্সারদের একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এবং তাদের স্বীকৃতি দেবে বেসিস। তা ছাড়া যাচাই-বাছাই, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের জন্য এই অর্থ সামান্য। অনেকেই এ ধরনের নিশ্চিত সেবা পেতে এর চেয়ে বেশি অর্থ খরচের জন্য প্রস্তুত থাকেন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট খুলতে বেসিসের অর্থ গ্রহণের কারণ ও যুক্তি দিয়ে শিগগিরই লিখিত বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের তথ্য জানিয়েছে বেসিস।

আউটসোর্সিংয়ে সফল তিন নারী

আউটসোর্সিংয়ে সফল তিন নারী

নুরুন্নবী চৌধুরী|
মুমীতা মেশকাতসন্ধ্যা রায়
ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজ করে দেওয়া—এর পোশাকি নাম ‘ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং’। বেশ কয়েক বছর ধরে
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এ পেশায় সাফল্য পেয়েছেন। মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন। নারীদের অংশগ্রহণও এতে বাড়ছে ধীরে ধীরে। দেশের সফটওয়্যার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ২০১১ সাল থেকে আউটসোর্সিং পুরস্কার দিয়ে আসছে। চলতি বছর নারীদের বিভাগে এই পুরস্কার পাওয়া তিনজন—সন্ধ্যা রায়, অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা ও মুমীতা মিশকাতের সফল হওয়ার কাহিনি নিয়ে এই প্রতিবেদন। লিখেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী
পরিচিতদের কাজ শেখান মুমীতা
পুরস্কার বিজয়ী ফ্রিল্যান্সার মুমীতা মিশকাতের শুরু ২০১২ সালে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই কিছু করার চিন্তা ছিল। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে সফলতা আসবে, সেটি তখনো বুঝতে পারেননি মুমীতা। স্বামীর আগ্রহ ও সহযোগিতায় যুক্ত হয়ে যান ফ্রিল্যান্সিংয়ে। শুরুতে ভিয়েতনামের একজনকে অনলাইনে অ্যানাটমি বিষয়ে পড়ানোর কাজ শুরু করেন মুমীতা। বলেন, ‘এরপর ব্লগ লেখা শুরু করলাম। বর্তমানে সাধারণ নিবন্ধ, স্বাস্থ্য নিবন্ধ, কারিগরি নিবন্ধ, ডেটা মাইনিং ও প্রেজেন্টেশন, চিকিৎসা গবেষণা, ডেটাবেইস তৈরি ইত্যাদির কাজ করছি।’বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।
প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা কাজ করা মুমীতা এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন। দেশে নারী ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এখনো বেশি নয়। এর কারণ হিসেবে মুমীতা বলেন, ‘আমাদের এখনো ফ্রিল্যান্সিং কাজ বললেই অনেকে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পেশাজীবীদের কাজ বলে মনে করেন। বিষয়টা ঠিক নয়। নানা ধরনের কাজ আছে, যার জন্য ইংরেজি জ্ঞান ও কম্পিউটারে দক্ষতাই যথেষ্ট। এর পাশাপাশি পরিবারের সহযোগিতাটা জরুরি।’
নারীদের এ কাজে আগ্রহী করা বা সহযোগিতা করার স্বপ্ন দেখছেন মুমীতা। আশাবাদী, একদিন এ কাজেও সফল হবেন তিনি। ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মুমীতার বাবা মীর মোশাররফ হোসেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। মা জিলুন নাহার সব সময় শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালসে কর্মরত স্বামী মোস্তফা আল ইমরানের অনুপ্রেরণায় ভালোভাবে কাজ করে যেতে পারছেন বলে অভিমত মুমীতার। পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে মুমীতা  বলেন, ‘খুব খুশি লাগছে। এ পুরস্কার নিজের কাজকে আরও ভালোভাবে করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’ ইতিমধ্যে নিজের পরিচিত অনেককেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। এ কাজ করে যেতে চান। একলা পথে হাঁটতে হলেও এগিয়ে যেতে চান সবাইকে নিয়ে সামনের দিকে।
সন্ধ্যা স্বপ্ন দেখেন অনেকের কর্মসংস্থানের
২০১১ সাল থেকে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন সন্ধ্যা রায়। যখন তিনি ছাত্রী, তখন থেকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চিন্তা করেন। আর সেই চিন্তা থেকে আউটসোর্সিংয়ে আসা। মূলত ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট) ও সফটওয়্যারের মান নিশ্চিত করার কাজ করেন সন্ধ্যা রায়। স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের প্রতিটি সংস্করণের বিশ্লেষণও করে দেন।
এরই মধ্যে প্রায় সাত হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন সন্ধ্যা। তিনি বলেন, ‘এখন লোকাইয়াক নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের রিলিজ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছি।’ তাঁর বাবা শ্যামচরণ রায় সরকারি চাকুরে এবং    মা গোপালী রায় গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্ধ্যা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক করেছেন ঢাকা সিটি কলেজ থেকে। আছেন ঢাকাতেই। ঢাকায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠা।
নিজের কাজের ক্ষেত্রে স্বামী সুমন সাহার সমর্থন এবং সহযোগিতাকে এগিয়ে রেখেছেন সন্ধ্যা রায়। বলেন, ‘আমার কাজের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার পরিবারের। এখনো নারীদের ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি কম। অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা ফ্রিল্যান্সিংকে পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তার অভাব বোধ করেন। আরেকটা বিষয় হলো শেখা ও জানার আগ্রহ কম থাকা। এটা বদলালে নারীরাও এ খাতে ভালো করতে পারবেন।’
সন্ধ্যা রায় স্বপ্ন দেখেন আগামী দুই বছরের মধ্যে নিজের প্রতিষ্ঠানে ২০০-এর বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে।
অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা l ছবি: সাহাদাত পারভেজসাত দিনেই অজন্তা পেয়েছিলেন প্রথম কাজঅজন্তা রেজওয়ানা মির্জা। থাকেন ঢাকায়। কিন্তু চাকরিটা করেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) প্রতিষ্ঠানে। পদের নাম ‘রাইটার ম্যানেজার’। মূলত তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। ২০১৩ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করেছেন। আর দুই বছরের মধ্যেই পেলেন পুরস্কার।
আগে জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগে চাকরি করতেন অজন্তা। আউটসোর্সিংয়ের প্রথম কাজ পেতে সময় লেগেছিল মাত্র সাত দিন। বলেন, ‘আমার ভাগ্য ভালো, প্রথম কাজটা পেয়েছি ট্রান্সক্রিপশনের (ধারণ করা কথা শুনে লিখে দেওয়া)। কাজটা ছিল ২৫ মিনিটের অডিও শুনে লিখে দেওয়া। ভালো করে লিখে দেওয়ায় যাঁর কাজ, তাঁর কাছ থেকে দারুণ মন্তব্য পেয়েছি।’ এরপর দ্রুত এগিয়ে গেছেন অজন্তা। এখন একজন লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন অজন্তা। নিজের কাজ সম্পর্কে বললেন, ‘কাজ হিসেবে আমি ৫ থেকে ৩০ হাজার শব্দের ই-বুক, নিবন্ধ, ব্লগ, ওয়েবসাইটের লেখা লিখি।’ ৯০টি ই-বুক লিখেছেন তিনি। ইংরেজিভাষী না হওয়ায় শুরুর দিকে কাজ অনুযায়ী কম পারিশ্রমিক পেতেন। তবে এখন এ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে।
নারীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার ব্যাপারে নানাভাবে সহায়তা করছেন অজন্তা। কীভাবে কাজ শুরু করতে হয়, কীভাবে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করতে হয়, এ বিষয়গুলো শেখাচ্ছেন নারীদের। পাশাপাশি নিজে কাজ নিয়ে কয়েকজন নারীকে দিয়েও করাচ্ছেন তিনি। বাবা মির্জা আবুল খায়ের ব্যবসায়ী এবং মা সেহেলা পারভীন গৃহিণী। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বামী রাশিদুল হাসান এবং দুই বছর বয়সী মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে তাঁর সংসার। নিজের কাজে স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতা পাচ্ছেন নিয়মিত। ইচ্ছে আছে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও ফ্রিল্যান্সিং কাজে সাহায্য করার।

Source: নুরুন্নবী চৌধুরী | আপডেট: http://www.prothom-alo.com/we-are/article/699295